দুরাকাত নামায ও বিশেষ দুয়ার মাধ্যমে আল্লাহর তায়ালার নিকট পছন্দনীয় বিষয়ে মন ধাবিত হওয়ার জন্য আশা করা। অর্থাৎদুটি বিষয়ের মধ্যে কোনটি অধিক কল্যাণকর হবে এ ব্যাপারে আল্লাহর নিকট দু রাকায়াত সালাত ও ইস্তিখারার দুয়ার মাধ্যমে সাহায্য চাওয়ার নামই ইস্তেখারা। (ইবনে হাজার, ফাতহুল বারী শরহু সহীহিল বুখারী)
ইস্তেখারা শব্দের অর্থ: কোন কোন বিষয়ে কল্যাণ চাওয়া।
ইস্তিখারা
করার নিয়ম:
১) ওযু করতে হবে।
২) ইস্তিখারার উদ্দেশ্যে দু রাকায়াত নামায সম্ভব হলে সূরা ফাতিহার পর
কুল আইয়োহাল কাফিরূন এবং দ্বিতীয় রাকায়াতে
সূরা ফাতিহার পর কুল হুওয়াল্লাহু
আহাদ পড়া।
৩) নামাযের সালাম ফিরিয়ে আল্লাহ
তায়ালা বড়ত্ব, ও মর্যাদার
কথা মনে জাগ্রত করে
একান্ত বিনয় ও নম্রতা
সহকারে আল্লাহর প্রশংসা ও নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
উপর দুরূদ পেশ করার
পর নিচের দুয়াটি পাঠ
করা:
–আল্লাহুম্মাআস্তাখিরুকা
বি ইলমিকা
ওয়া আস্তাকদিরুকা বি কুদরাতিকা
ওয়া আসআলুকা মিনফাদ্বলিকাল আযীম,
ফা ইন্নাকা তাকদিরু ওয়ালা আকদিরু,
ওয়া তা’লামু ওয়ালা
আ’লামু
ওয়া আন্তা আল্লামুল গুয়ূব।
আল্লাহুম্মা
ইনকুন্তা তা’লামু
আন্না
হাযালআমরা (এখানে নিজের কাজের
কথা উল্লেখ করবে)
খাইরুল্লি
ফি দ্বীনী ওয়া মাশায়ী
ওয়া আক্বিবাতি আমরী
(অথবা
বলবে: আ’ জিলি আমরি
ওয়া আজিলিহি)
ফাকদিরহু
লি ওয়া ইয়াসসিরহু লী
সুম্মা
বারিকলী ফিহি
ওয়া ইন কুনতা তা’লামু
আন্না
হাযাল আমরা (এখানে নিজের
কাজের কথা উল্লেখ করবে)
শাররুল্লী
ফী দীনী ওয়া মাশায়ী
ওয়াআক্বিবাতি
আমরী
(অথবা
বলবে: আ জিলি আমরী
ওয়া আজিলীহি)
ফাসরিফহু
আন্নিওয়াসরীফনি আনহু
ওয়াকদির
লিয়াল খাইরা হাইসু কানা
সুম্মা
আরদ্বিনী বিহি।
(এর পর নিজের কাজের
কথা উল্লেখ করবে)
অর্থ:
হে আ্ল্লাহ, আমি আপনার কাছে
কল্যাণ চাই –আপনার ইলমের
সাহায্যে।
আপনার
কাছে শক্তি কামনা করি
আপনার কুদরতের সাহায্যে।
আপনার
কাছে অনুগ্রহ চাই আপনার মহা
অনুগ্রহ থেকে।
আপনি সর্বোময় ক্ষমতার অধিকারী –আমার কোন ক্ষমতা
নাই।
আপনি সর্বজ্ঞ – আমি কিছুই জানি
না।
আপনি সকল গোপন বিষয়
পূর্ণ অবগত।
“হে আল্লাহ, আপনার ইলমে এ
কাজ (এখানে নিজের কাজের
কথা উল্লেখ করবে) আমার
দ্বীন আমার জীবন-জিবীকা
ও কর্মফলের দিক থেকে (বা
তিনি নিম্নোক্ত শব্দগুলো বলেছিলেন –একাজ দুনিয়া ও
আখিরাতের দিক থেকে ভাল
হয়) তবে তা আমাকে
করার শক্তি দান করুন।
পক্ষান্তরে
আপনার ইলমে এ কাজ
(এখানে নিজের কাজের কথা
উল্লেখ করবে) যদি আমার
দ্বীন আমার জীবন-জিবীকা
ও কর্মফলের দিক থেকে (অথবা
বলেছিলেন, দুনিয়া ও পরকালের
দিক থেকে মন্দ হয়)
তবে আমার ধ্যান-কল্পনা
একাজ থেকে ফিরিয়ে নিন। তার
খেয়াল আমার অন্তর থেকে
দূরীভূত করে দিন।
আর আমার জন্যে যেখানেই
কল্যাণ নিহিত রয়েছে এর
ফায়সালা করে দিন এবং
আমাকে এরই উপর সন্তুষ্ট
করে দিন । (এরপর
নিজের প্রয়োজনের কথা ব্যক্ত করবে।) (বুখারী
)
পরে অভিজ্ঞ, বিশ্বস্ত এবং জ্ঞানী লোকের পরামর্শ গ্রহণ করা। আল্লাহ তায়ালা এ ব্যাপারে বলেন:
“সিদ্ধান্ত
গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের সাথে পরামর্শ
করুন।” (সূরা
আলে ইমরান: ১৫৯)