সোমবার, ৬ জুন, ২০১৬

রমজান মাসের আমল



‘‘রমাদান মাস, যার মধ্যে কুরআন নাযিল করা হয়েছে লোকদের পথ প্রদর্শক এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট বর্ণনারূপে এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে’’ [সূরা আলবাকারাহ : ১৮৫]

সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে, মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে” [সূরা আল-বাকারাহ : ১৮৫]
‘‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ইখলাস নিয়ে অর্থাৎ একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্য রমাদানে সিয়াম পালন করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে’’ [সহীহ বুখারী : ২০১৪]
‘‘যে কেউ আল্লাহর রাস্তায় (অর্থাৎ শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশী করার জন্য) একদিন সিয়াম পালন করবে, তাদ্বারা আল্লাহ তাকে জাহান্নামের অগ্নি থেকে সত্তর বছরের রাস্তা পরিমাণ দূরবর্তীস্থানে রাখবেন’’। [সহীহ মুসলিম : ২৭৬৭]
‘‘রমাদান ব্যতীত অন্য কোনো রাত্রিতে আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পূর্ণ কুরআন তিলাওয়াত করতে, কিংবা ভোর অবধি সালাতে কাটিয়ে দিতে অথবা পূর্ণ মাস রোযা পালন করে কাটিয়ে দিতে দেখি নি’’ [সহীহ মুসলিম : ১৭৭৩]
‘‘এ মাসের প্রত্যেক রাতে একজন ঘোষণাকারী এ বলে আহবান করতে থাকে যে, হে কল্যাণের অনুসন্ধানকারী তুমি আরো অগ্রসর হও! হে অসৎ কাজের পথিক, তোমরা অন্যায় পথে চলা বন্ধ কর। (তুমি কি জান?) এ মাসের প্রতি রাতে আল্লাহ তায়ালা কত লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন’’ [সুনান আত-তিরমিযী : ৬৮৪]
‘‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল আর রমাদানে তাঁর এ দানশীলতা আরো বেড়ে যেত’’ [সহীহ আল-বুখারী : ১৯০২]
‘‘প্রত্যেক রমাযানেই তিনি শেষ দশ দিন ইতিকাফ করতেনকিন্তু জীবনের শেষ রমযানে তিনি ইতিকাফ করেছিলেন বিশ দিন’’ [সহীহ আলবুখারী : ২০৪৪]দশ দিন ইতেকাফ করা সুন্নাত
‘‘রমাদান মাসে উমরা করা আমার সাথে হাজ্জ আদায় করার সমতুল্য’’ [সহীহ আলবুখারী : ১৮৬৩]
‘‘কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম’’ [সূরা কদর : ৪]
‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য সময়ের তুলনায় রমদানের শেষ দশ দিনে অধিক হারে পরিশ্রম করতেন’’ [সহীহ মুসলিম : ১১৭৫]
‘‘ইফতারের মূহূর্তে আল্লাহ রাববুল আলামীন বহু লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেনমুক্তির এ প্রক্রিয়াটি রমাদানের প্রতি রাতেই চলতে থাকে’’ [আল জামিউস সাগীর : ৩৯৩৩]
‘‘রমযানের প্রতি দিবসে ও রাতে আল্লাহ তাআলা অনেককে মুক্ত করে দেনপ্রতি রাতে ও দিবসে প্রতি মুসলিমের দোআ কবূল করা হয়’’ [সহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব : ১০০২]
‘‘যে ব্যক্তি সিয়াম পালন করবে, সে যেন খেজুর দিয়ে ইফতার করে, খেজুর না পেলে পানি দিয়ে ইফতার করবেকেননা পানি হলো অধিক পবিত্র ’’ [সুনান আবু দাউদ : ২৩৫৭, সহীহ]
পিপাসা নিবারিত হল, শিরা উপশিরা সিক্ত হল এবং আল্লাহর ইচ্ছায় পুরস্কারও নির্ধারিত হল” [সুনান আবূ-দাউদ: ২৩৫৯, সহীহ]
‘‘যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করাবে, সে তার সমপরিমাণ সাওয়াব লাভ করবে, তাদের উভয়ের সাওয়াব হতে বিন্দুমাত্র হ্রাস করা হবে না’’ [সুনান ইবন মাজাহ : ১৭৪৬, সহীহ]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের সালাত আদায়ের পুর্বে ফিতরাহ আদায় করার আদেশ দিলেন। [সহীহ আল-বুখারী :১৫০৩]
 


‘‘তোমাদের মধ্যে কেউ যদি রোযা রাখে, সে যেন তখন অশস্নীল কাজ ও শোরগোল থেকে বিরত থাকে রোযা রাখা অবস্থায় কেউ যদি তার সাথে গালাগালি ও মারামারি করতে আসে সে যেন বলে, আমি রোযাদার’’ [সহীহ মুসলিম : ১১৫১]

 

 

সময় মত সালাত আদায় করা

সাহরী খাওয়া  ‘‘সাহরী হল বরকতময় খাবারতাই কখনো সাহরী খাওয়া বাদ দিয়ো নাএক ঢোক পানি পান করে হলেও সাহরী খেয়ে নাওকেননা সাহরীর খাবার গ্রহণকারীকে আল্লাহ তাআলা ও তাঁর ফেরেশতারা স্মরণ করে থাকেন’’ [মুসনাদ আহমাদ : ১১১০১, সহীহ]

 

সালাতুত তারাবীহ পড়া

যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াব হাসিলের আশায় রমাদানে কিয়ামু রমাদান (সালাতুত তারাবীহ) আদায় করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে’ [সহীহ আল-বুখারী : ২০০৯]
তারাবীহ এর সালাত বিতরসহ ২৩ রাকাআত, ২১ রাকাআত, ১৩ রাকাআত, অথবা ১১ রাকাআত পড়া যাবেতারাবীহ এর সালাত তার হক আদায় করে অর্থাৎ ধীরস্থীরভাবে আদায় করতে হবেতারাবীহ জামায়াতের সাথে আদায় করা সুন্নাহ এর অন্তর্ভুক্ত হাদীসে আছে,
«
إِنَّهُ مَنْ قَامَ مَعَ الإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ كُتِبَ لَهُ قِيَامُ لَيْلَة»ٍ
‘‘
যে ব্যক্তি ইমামের সাথে প্রস্থান করা অবধি সালাত আদায় করবে (সালাতুত তারাবীহ) তাকে পুরো রাত কিয়ামুল লাইলের সাওয়াব দান করা হবে’’ [সুনান আবূ দাউদ : ১৩৭৭, সহীহ] 

 

বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা

শুকরিয়া আদায় করা 

কল্যাণকর কাজ বেশি বেশি করা

সালাতুত তাহাজ্জুদ পড়া

বেশি বেশি দান-সদাকাহ করা   

তিকাফ করা 

সামর্থ্য থাকলে উমরা পালন করা

লাইলাতুল কদর তালাশ করা 

বেশি বেশি দোআ ও কান্নাকাটি করা

ইফতার করা 

‘‘যে ব্যক্তি সিয়াম পালন করবে, সে যেন খেজুর দিয়ে ইফতার করে, খেজুর না পেলে পানি দিয়ে ইফতার করবেকেননা পানি হলো অধিক পবিত্র ’’ [সুনান আবু দাউদ : ২৩৫৭,সহীহ]

‘‘যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করাবে, সে তার সমপরিমাণ সাওয়াব লাভ করবে, তাদের উভয়ের সাওয়াব হতে বিন্দুমাত্র হ্রাস করা হবে না’’ [সুনান ইবন মাজাহ : ১৭৪৬, সহীহ]
ইফতার করানো
অপরকে ইফতার করানো একটি বিরাট সাওয়াবের কাজ

তাওবাহ ও ইস্তেগফার করা
ফিতরাহ দেয়া

 

রোযা সম্পর্কে মাসয়ালাঃ 

 

*রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোযা রাখার নিয়্যাত না করবে তার রোযা (সিদ্ধ) নয়
আবূ দাঊদ, তিরমিযী, আহমাদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ; তিরমিযী ও নাসাঈইবনু খু্যাইমাহ্ ও ইবনু হিব্বান একে সহীহ বলেছেনবুলুগূল মারাম ৬৫৬


কেউ যদি রমজানের ফরয রোজা (অথবা রমজানের ফরয রোজা অন্য সময় কাযা রাখা অবস্থায়) স্ত্রী সহবাস করে তাহলেই শুধু মাত্র তার উপর রোযার কাজা ও কাফফারা দেওয়া ওয়াজিব হয়এছাড়া অন্যভাবে কেউ যদি ইচ্ছাকৃত/অনিচ্ছাকৃত রোজা ভাঙ্গে তাহলে কোনো কাফফারা দিতে হয়না, তোওবা করবে আর এর পরিবর্তে শুধুমাত্র পরে একটা রোজা কাযা রাখবে
স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে রোজা ভাংলে রোযার কাফফারা হচ্ছেঃ
১. একজন দাস মুক্ত করা
এটা সম্ভব না হলেঃ
২. একটানা দুইমাস (৬০দিন) রোজা রাখাএটা একাধারে রাখতে হবে, মাঝখানে বিরতি দিলে আবার নতুন করে শুরু করতে হবেঅবশ্য নারীরা ঋতুর কারণে বিরতি দিতে পারবে
এটা সম্ভব না হলেঃ
৩. ৬০ জন দরিদ্র মিসকীনকে খাওয়াতে হবে
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট কোন একটি লোক এসে বললোঃ হে আল্লাহর রাসূল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমি ধ্বংস হয়ে গেছিরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন্ বস্তু তেমাকে ধ্বংস করেছে? সে বললো রামাযানের রোযা রেখে স্ত্রীর উপর পতিত হয়েছি(অর্থাৎ স্ত্রী সঙ্গম করে ফেলেছি)।. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি কি কোন দাস-দাসীকে মুক্তি দেওয়ার ক্ষমতা রাখ? সে বললোঃ না রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ দু-মাস কি একনাগাড়ে রোযা রাখতে পারবে? সে বললোঃ নারাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ৬০ জন দরিদ্রকে খাওয়াতে পারবে? সে বললোঃ নাতারপর সে বসে রইলতারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট একটি খেজুরের ঝুড়ি বা থলে এলো, যাতে কিছু খেজুর ছিলরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেনঃ এইগুলি তুমি সাদকা করে দিবেসে বললোঃ আমার থেকে বেশি দরিদ্রকে কি দান করতে হবে? মাদীনার দুটি পাহাড়ের মধ্যবর্তী একালায় আমার থেকে বেশি অভাবী পরিবার আর নেইরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার এরূপ কথা শুনে হেসে ফেললেন যাতে তাঁর চোয়ালের ভিতরের দাঁতগুলো পর্যন্ত প্রকাশ হয়ে পড়লোতারপর তিনি বললেনঃ যাও এটা তোমার পরিবারকে খাওয়াও
বুলুগুল মারামঃ হাদীস নং- ৬৭৬
বুখারী, মুসলিম, আবূ দাঊদ, তিরমিযী, আহমাদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ্; শব্দগুলো মুসলিমের


কেউ যদি অতীতে মুসলিম থাকা অবস্থায় রোজা ভেঙ্গে থাকে, সেটা ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক তাকে হিসাব করে সেই রোযাগুলো রমাজানের বাইরে কাজা আদায় করে নিতে হবে, একটার পরিবর্তে একটা রোজা কাজাআর এটা পরবর্তী রমজান আসার আগেই করতে হবে
কেউ যদি কাজা রোজা রেখে মারা যায় তাহলে তার আত্মীয়-স্বজনরা সেগুলো তারপক্ষ থেকে আদায় করে নিবে







রোজার বিধানসমূহঃ

নিয়তঃ
ফরজ রোজার ক্ষেত্রে সুবহে সাদেকের পূর্বেই নিয়ত করতে হবেনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের পূর্বে নিয়ত করবেনা, তার রোজা হবেনা। (আবু দাউদ) রাসূল (সাঃ) আরও বলেন, যে ব্যক্তি রাত্রিতে (ফজরের পূর্বে) নিয়ত করবেনা, তার রোজা বিশুদ্ধ হবেনা। (নাসাঈ)

রোজার সময়ঃ
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
وَكُلُوْا وَاشْرَبُوْا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الخَيْطِ الأََسْوَدِ مِنَ الفَجْرِ ثُمَّ أَتِمُّوْا الصِّيَامَ اِلَى الَّيْلِ
আর তোমরা খাও পান কর যে পর্যন্ত কালো সুতা থেকে সাদা সুতা প্রকাশিত না হয় অর্থাৎ ফজরের শুভ্রতা সুস্পষ্ট না হয়অতঃপর রোযাকে তোমরা রাত পর্যন্ত পূর্ণ কর” (সূরা বাকারাঃ ১৮৭) যখন পূর্ব দিক থেকে রাত আগমন করবে এবং পশ্চিমাকাশে দিন লুকিয়ে যাবে ও সূর্য অস্তমিত হবে, তখনই রোজাদার ইফতার করবেরাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যখন এই দিক থেকে (পূর্ব দিক থেকে) রাত আগমণ করবে এবং এই দিকে (পশ্চিম দিকে) দিন লোপ পাবে, তখন অবশ্যই রোজাদার ইফতার করে নিবে। (বুখারী ও মুসলিম)

সেহরী খাওয়া
আবু সাঈদ খুদরী রা. হতে বর্ণিততিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

সেহরী খাওয়া বরকতের বিষয় অত:এব তোমরা তা পরিত্যাগ করিও নাএমনকি এক ঢোক পানি পান করে হলেওকারণ আল্লাহ তায়ালা যারা সেহরী খায় তাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতা মণ্ডলীও তাদের জন্য দুয়া করেন” (মুসনাদ আহমদ, হাদীস নং ১১৮৭, শামেলাহাসান লি গাইরেহী, দেখুন: সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, ১/২৫৮)
যাদের জন্য রোজা ভঙ্গ করার অনুমতি আছেঃ
(
ক) অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক-বালিকাদের উপর রোজা রাখা ফরজ নয়তবে তাদেরকে অভ্যাস করানোর জন্য রোজার আদেশ দেয়া যেতে পারে
(
খ) রোগী যদি অসুখ সেড়ে যাওয়ার আশা রাখে, তবে তার জন্য রোজা ভঙ্গ করা যায়েজ আছেপরে রোজা কাযা করতে হবে
(
গ) পাগলের উপর রোজা ফরজ নয়তার উপর কাযা বা মিসকীনকে খাদ্য দান, কোনটিই জরুরী নয়
(
ঘ) অতি বৃদ্ধ অথবা সুস্থ হওয়ার আশা নাই, এমন রোগী ব্যক্তি রোযা রাখতে অক্ষম হলে, তাদের পক্ষ হতে প্রতিদিন একজন করে মিসকীনকে খাওয়াতে হবে
(
ঙ) গর্ভবতী ও স্তন্যদায়িনী মহিলা যদি রোজা রাখার কারণে তাদের শিশুদের বা নিজেদের স্বাস্থ্যের ক্ষতির আশঙ্কা করে, তাহলে তারা রোযা ভঙ্গ করতে পারবে তবে তারা পরবর্তীতে সুবিধা মত সময়ে রোজা কাযা করে নিবে
(
চ) হায়েয (মাসিক) চলা কালে এবং সন্তান ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর নিফাসের রক্ত প্রবাহমান থাকা অবস্থায় রোজা রাখা নিষেধতারা পরবর্তীতে সমান সংখ্যায় রোজা কাযা করে নিবে
(
ছ) পানিতে ডুবন্ত বা অগ্নিতে দগ্ধমান ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে গিয়ে রোজা ভঙ্গ করতে বাধ্য হলে পরবর্তীতে কাযা করে নিবে
(
জ) সফর (ভ্রমন) অবস্থায় রোজা ভাঙ্গা বা রাখা উভয়ই বৈধকষ্ট অনুভব হলে ভাঙ্গাই উত্তমপরবর্তীতে অবশ্যই কাযা করতে হবেএই অনুমতিতে সর্বদা ভ্রমনকারী আর বিশেষ প্রয়োজনে হঠাৎ ভ্রমনকারীর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই

 

যা করণীয় নয়

রমাদান মাসের ফজিলত হাসিল করার জন্য এমন কিছু কাজ রয়েছে যা থেকে বিরত থাকা দরকার, সেগুলো নিম্নে উপস্থাপন করা হলো :
1. বিলম্বে ইফতার করা
2. সাহরী না খাওয়া
3. শেষের দশ দিন কেনা কাটায় ব্যস্ত থাকা
4. মিথ্যা বলা ও অন্যান্য পাপ কাজ করা
5. অপচয় ও অপব্যয় করা
6. তিলাওয়াতের হক আদায় না করে কুরআন খতম করা
7. জামাআতের সাথে ফরয সালাত আদায়ে অলসতা করা
8. বেশি বেশি খাওয়া
9. রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদাত করা
10. বেশি বেশি ঘুমানো
11. সংকট তৈরি করা জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধির জন্য
12. অশ্লীল ছবি, নাটক দেখা
13. বেহুদা কাজে রাত জাগরণ করা
14. বিদআত করা
15. দুনিয়াবী ব্যস্ততায় মগ্ন থাকা


রমজানে মারাত্মক ভুল আমরা করে থাকি