আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিস দ্বারা, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমাদের রব প্রতি রাতে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন, যখন রাতের শেষ তৃতীয়াংশ বাকি থাকে। অতঃপর তিনি বলেন: কে আমাকে আহ্বান করবে, আমি যার ডাকে সাড়া দেব? কে আমার নিকট প্রার্থনা করবে, আমি যাকে প্রদান করব? কে আমার নিকট ইস্তেগফার করবে, আমি যাকে ক্ষমা করব? ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত অনুরূপ বলতে থাকেন”
তাহাজ্জত সলাত- মুমিনদের সম্মান
১। সকল নফল সলাতের শ্রেষ্ঠ সলাত তাহাজ্জত।
২। তাহাজ্জত সলাতের পছন্দনীয় রাকাত সংখ্যা সাত,নয় বা এগার।
৩। রাতের সলাতে জেগে উঠে মিসওয়াক করা সুন্নত।
৪। রাসুল (সাঃ) সুরা আলে ইমরানের শেষ ১০ আয়াত তেলাওয়াত করতেন।
৫। সংক্ষিপ্ত দুই রাকাত দিয়ে সলাত শুরু করা। যাতে পূর্ণ কর্মক্ষম হওয়া জায়।
৬। তাহাজ্জত সলাতকে দীর্ঘ করা সুন্নত।
৭। রাতে সালাত আদায়কারী ঈর্ষার পাত্র, কারণ এর সওয়াব অধিক। এ সালাত দুনিয়া ও তার মধ্যে বিদ্যমান সবকিছু থেকে উত্তম।
৮। রাতের সালাতে কুরআন তিলাওয়াত করা বড় গণিমত ও সৌভাগ্যের বিষয়।
৯। কিয়ামুল লাইলের সর্বোত্তম সময় রাতের শেষ তৃতীয়াংশ।
রাতের সালাত রাতের শুরু, শেষ ও মধ্যখানে আদায় করা বৈধ, তবে উত্তম হচ্ছে শেষ তৃতীয়াংশ।
কিয়ামুল লাইলের আদব:
১। ঘুমের সময় কিয়ামুল লাইলের নিয়ত করা।“যে ব্যক্তি তার বিছানায় আসল, যার নিয়ত ছিল রাতে উঠে সালাত আদায় করা, কিন্তু তার ওপর ঘুম প্রবল হল, অতঃপর ভোর করল, তার নিয়ত অনুযায়ী তার জন্য লেখা হবে। আর তার ঘুম হবে আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জন্য সদকা স্বরূপ”।
২। জাগ্রত হয়ে হাত মলে চেহারা থেকে ঘুম দূর করা, আল্লাহর যিকির করা ও মিসওয়াক করা, অতঃপর সে বলল: হে আল্লাহ আমাকে মাফ কর, অথবা দোয়া করল, তার দোয়া কবুল করা হবে”। ইব্ন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: “… রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাগ্রত হয়ে হাত দ্বারা চেহারা থেকে ঘুম মুছতে ছিলেন, অতঃপর সূরা আলে-ইমরানের শেষ দশ আয়াত তিলাওয়াত করলেন…”।
# যে আমল রাতের সলাতে জেগে উঠতে সহায়তা করে-
১। দুয়া করা।
২। বেশি রাত জেগে না থাকা।
৩। দিনের বেলা কায়লুলা করা।
৪। সকল প্রকার অবাধ্যতা থেকে দূরে থাকা।
৫। নফসের কামনা বাসনার বিরুদ্ধে চেষ্টা সাধনা করা।
@ আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিস দ্বারা, তিনি বলেন, নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমাদের রব প্রতি রাতে দুনিয়ার
আসমানে অবতরণ করেন, যখন রাতের শেষ তৃতীয়াংশ বাকি থাকে। অতঃপর তিনি বলেন: কে
আমাকে আহ্বান করবে, আমি যার ডাকে সাড়া দেব? কে আমার নিকট প্রার্থনা করবে,
আমি যাকে প্রদান করব? কে আমার নিকট ইস্তেগফার করবে, আমি যাকে ক্ষমা করব?
ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত অনুরূপ বলতে থাকেন”
@আমর ইব্ন আবাসা
রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে
বলতে শুনেছেন: “রাতের শেষ ভাগে বান্দা তার রবের সবচেয়ে নিকটবর্তী হয়, যদি
তুমি সে সময়ে আল্লাহর যিকিরকারীদের অন্তর্ভুক্ত হতে পার, তাহলে তাদের
অন্তর্ভুক্ত হও”।
@“যে ব্যক্তি রাতের প্রহরে সিজদাবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে আনুগত্য প্রকাশ করে, আখিরাতকে ভয় করে এবং তার রব-এর রহমত প্রত্যাশা করে (সে কি তার সমান যে এরূপ করে না) বল, ‘যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান?’ বিবেকবান লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে”। [সূরা যুমার: (৯
জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “নিশ্চয় রাতে এমন একটি সময় রয়েছে, সে সময় যদি বান্দা আল্লাহর নিকট দুনিয়া ও আখেরাতের কোন কল্যাণ প্রার্থনা করে, তাকে অবশ্যই তা প্রদান করা হয়। আর এটা প্রত্যেক রাতে হয়”।
@মুত্তাকীদের গুণাগুণ আলোচনায় বলেন: রাতের সামান্য অংশই এরা ঘুমিয়ে কাটাত। আর রাতের শেষ প্রহরে এরা ক্ষমা চাওয়ায় রত থাকত”। [সূরা যারিয়াত:
আল্লাহ তা‘আলা পূর্ণ ইমানদার বান্দাদের সম্পর্কে বলেন “তাদের পার্শ্বদেশ বিছানা থেকে আলাদা হয়। তারা ভয় ও আশা নিয়ে তাদের রবকে ডাকে। আর আমি তাদেরকে যে রিযক দান করেছি, তা থেকে তারা ব্যয় করে। অতঃপর কোন ব্যক্তি জানে না তাদের জন্য চোখ জুড়ানো কি জিনিস লুকিয়ে রাখা হয়েছে, তারা যা করত, তার বিনিময়স্বরূপ”। [সূরা সেজদাহ]
@“যে ব্যক্তি রাতের প্রহরে সিজদাবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে আনুগত্য প্রকাশ করে, আখিরাতকে ভয় করে এবং তার রব-এর রহমত প্রত্যাশা করে (সে কি তার সমান যে এরূপ করে না) বল, ‘যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান?’ বিবেকবান লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে”। [সূরা যুমার: (৯
জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “নিশ্চয় রাতে এমন একটি সময় রয়েছে, সে সময় যদি বান্দা আল্লাহর নিকট দুনিয়া ও আখেরাতের কোন কল্যাণ প্রার্থনা করে, তাকে অবশ্যই তা প্রদান করা হয়। আর এটা প্রত্যেক রাতে হয়”।
@মুত্তাকীদের গুণাগুণ আলোচনায় বলেন: রাতের সামান্য অংশই এরা ঘুমিয়ে কাটাত। আর রাতের শেষ প্রহরে এরা ক্ষমা চাওয়ায় রত থাকত”। [সূরা যারিয়াত:
আল্লাহ তা‘আলা পূর্ণ ইমানদার বান্দাদের সম্পর্কে বলেন “তাদের পার্শ্বদেশ বিছানা থেকে আলাদা হয়। তারা ভয় ও আশা নিয়ে তাদের রবকে ডাকে। আর আমি তাদেরকে যে রিযক দান করেছি, তা থেকে তারা ব্যয় করে। অতঃপর কোন ব্যক্তি জানে না তাদের জন্য চোখ জুড়ানো কি জিনিস লুকিয়ে রাখা হয়েছে, তারা যা করত, তার বিনিময়স্বরূপ”। [সূরা সেজদাহ]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন