একজন মুসলিমের প্রাত্যহিক শিষ্টাচার---
1. আসসালামু আলাইকুম=আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হউক…
যখন আমাদের সাথে কারো দেখা বা কথা হয় তখন আসসালামু আলাইকুম বলুন.. যদি নেকী বেশী হাসিল করতে চান তাহলে ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ বলতে পারেন..
পূর্ণ সালাম হল আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু
এবং পূর্ণ উত্তর হল ‘ওয়া আলাইকুমুস্সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু’।
2. আলহামদুলিল্লাহ=সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য…
যখন কেউ আপনি কেমন আছেন জানতে চাই বা কোন ভাল সংবাদ শুনলেন,কিছু খাওয়ার পর,হাচি দেওয়ার পর, সে ক্ষেত্রে আলহামদুলিল্লাহ বলুন…
ভালো কিছু খাওয়া বা পান করা শেষে, কোন শোভ সংবাদ শোনা হলে, কেউ কেমন আছো জিজ্ঞেস করলে- তার জবাবে 'আলহামদুলিল্লাহ' বলা । -(ইবনে মাজাহঃ ৩৮০৫)
3. সুবাহানাল্লাহ=আল্লাহ তায়ালা পবিত্র…
যখন আল্লাহর কোন মহিমা,সুন্দর ফুল ফল মাছ,বা ভাল কথা শ্রাবণ,আশ্চার্য কোন কথা শুনলে তখন সুবাহানাল্লাহ বলুন...
স্বাভাবিকের মধ্যে কোন ব্যতিক্রম দেখলে কিংবা আশ্চর্য ধরণের কোন কথা শুনলে 'সুবহানাল্লাহ' বলা । -(বুখারীঃ ৬২১৮)
4. নাউজুবিল্লাহ=আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই…
কোন খারাপ কিছু শুনলে বা দেখলে তখন নাউজুবিল্লাহ বলুন…
কোন বাজে কথা শুনলে কিংবা আল্লাহর আজাব ও গজবের কথা শুনলে বা মনে পড়লে "না'উজু বিল্লাহ" বলা । -(বুখারীঃ ৬৩৬২)
5. আস্তাগফিরুল্লাহ=আল্লাহর কাচে ক্ষমা চাই…
যদি কোন গুনাহ হয় বা মাথাই এমন চিন্তা আসে তখন আপনি আস্তাগফিরুল্লাহ বলুন..
কথা প্রসঙ্গে কোন গুনাহর কথা বলে ফেললে, 'আস্তাগফিরুল্লাহ' বলা । -(সূরা মুহাম্মদঃ ১৯)
6. জাযাক আল্লাহ খাইর= আল্লাহ আপনাকে এটার উত্তম প্রতিদান দান করুন…
যখন কেউ আমাদের কোন উপকার করে বা ভাল কিছু শিক্ষা দেই তখন তাকে জাযাক আল্লাহ খাইর বলুন...
আর কেউ জাযাক আল্লাহ খাইর বললে আমীন বলুন..
কেউ কিছু দিলে কিংবা কারো মাধ্যমে কোন কাজ হলে তার বদলে 'জাযাকাল্লাহু খাইরান' বলা । -(বুখারীঃ ৩৩৬)
7. মা শা আল্লাহ= আল্লাহ যেভাবে করতে চেয়েছেন…
প্রশংসার বহিঃপ্রকাশ,কোন ভাল কিছু দেখলে,পরীক্ষাই ভাল করেছে শুনলে,ভাল কাজ করেছে এমন সময়" মা শা আল্লাহ বলুন..
ভালো যে কোন কিছু বেশি বা ব্যতিক্রম দেখলে 'মা-শা আল্লাহ' বলা । -(মুসলিমঃ ৩৫০৮)
8. ইন্নালিল্লাহ=নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য..
কোন খারাপ খবর শুনলে,জিনিস ভেঙ্গে গেলে তখন ইন্নালিল্লাহি বলুন..
কোন বিপদের কথা শুনলে কিংবা কোন খারাপ বা অশুভ সংবাদ শুনলে, কোন কিছু হারিয়ে গেলে, কোন কিছু চুরি হয়ে গেলে, কোন কষ্ট পেলে 'ইন্না লিল্লাহ' বলা । --(মুসলিমঃ ২১২৬)
9. ইন শা আল্লাহ= যদি আল্লাহ চান..
ভবিষ্যতে কোন ওয়াদা দিলে,বা কোন কাজ করবেন, তখন ইন শা আল্লাহ বলুন..
ভবিষ্যতে কোন কিছু করবে বললে 'ইন শা আল্লাহ' বলা । -(আল কাহাফঃ ২৩-২৪)
10. ফি আমানিল্লাহ=আল্লাহর কাছে আমানত..
বিদায়ের সময়, কেউ দোয়া করতে বললে তাকে বলুন.. জি জি ফি আমানিল্লাহ..
11. সিঁড়ি বেঁয়ে উঠার সময় বলবে আল্লাহু আকবর... (বুখারীঃ ২৯৯৩)
12. সিঁড়ি বেঁয়ে নামার সময় বলবে সুবাহানাল্লাহ... (বুখারীঃ ২৯৯৩)
13. কারো হাঁচি আসলে ''আলহামদু লিল্লাহী 'আলা কুল্লী হা-ল'' বলা । -(আত তিরমিযীঃ ২৭৪১)
14 . কোন হাঁচি দাতা 'আলহামদুলিল্লাহ' বলতে শুনলে- 'ইয়ারহামুকাল্লাহ' বলা । -(বুখারীঃ ৬২২৪)
15. নিশ্চিতভাবে না জেনে কোন বিষয়ে কিছু বললে, কথা শেষে 'ওয়াল্লাহু আলুম' বলা । -(বুখারীঃ ৫৫৭০)
16. আল্লাহ তা'আলার শ্রেষ্ঠত্ব, মহত্ব বা বড়ত্বের কোন কৃতিত্ব দেখলে কিংবা শুনলে 'আল্লাহু আকবর' বলা
17.. ভালো কোন কিছু খাওয়া বা পান করার সময়, কোন কিছু লেখা বা পড়ার সময়, কোন কাজ শুরু করার সময় 'বিসমিল্লাহ' বলে শুরু করে । -(বুখারীঃ ৫৩৭৬)
18. কেউ হাঁচি দিলে বলবে- আলহামদু লিল্লা-হ, অর্থ- “সকল প্রশংসা আল্লাহ্র”
উত্তরে তার মুসলিম ভাই বা সাথী বলবে - ইয়ারহামুকাল্লা-হ
অর্থ- “আল্লাহ আপনাকে রহমত করুন”
আবার হাঁচি দাতা বলবে -ইয়াহ্দীকুমুল্লা-হু ওয়া ইউসলিহু বা-লাকুম অর্থ-
“আল্লাহ আপনাদেরকে সৎপথ প্রদর্শন করুন এবং আপনাদের অবস্থা উন্নত করুন।
শপথ নেয়ার সময় বলুন ওয়াল্লাহি বিল্লাহ
পাপের অনুশোচনায় বলুন আস্তাগফিরুল্লাহ
পরপোকার করার সময় বলুন ফিসাবিলিল্লাহ
কাউকে ভালবাসলে বলুন লিহুব্বিল্লাহ
বিবাহ করার সময় বলুন আমানতুবিল্লাহ
কষ্টে ও বেদনায় বলুন ইয়া -আল্লাহ
সমস্যা দেখা দিলে বলুন তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ
অপ্রীতিকর কিছু দেখলে বলুন নাওযুবিল্লাহ
আনন্দদায়ক কিছু দেখলে বলুন ফাতাবারাকাল্লাহ
মোনাজাতে অংশ গ্রহনের সময় বলুন আমিন।।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন