রবিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৫

বিতর সলাত

খারেজাহ্ইবনে হুযাফাহ্(রাঃ) বলেন: রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা আমাদের নিকট এসে বললেন: নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে একটি নামায দিয়ে অনুগ্রহ করেছেনউহা তোমাদের জন্য লাল উটের চাইতে উত্তমতা হচ্ছে  বিতর নামায নামায আদায় করার জন্য তিনি সময় নির্ধারণ করেছেন, এশার নামাযের পর থেকে ফজর উদিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত 

আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ নামায, অনুচ্ছেদঃ বিতর নামায মুস্তাহাব, হা/১২০৮তিরমিযি, অধ্যায়ঃ নামায, অনুচ্ছেদঃ বিতর নামাযের ফযীলত, হা/৪১৪ইবনে মাযাহ, অধ্যায়ঃ নামায প্রতিষ্ঠা করা, অনুচ্ছেদঃ বিতর নামাযের বর্ণনা, হা/১১৫৮


বিতর সালাতের নিয়ম-


বিতর মানে বেজোড় আর বেজোড় , , , ইত্যাদি বিতর একটি গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদাপূর্ণ নামায


বিতর পড়া কি ফরয/ওয়াজিব না সুন্নতঃ

বিতর সালাত হলো সুন্নতে মুয়াক্কাদা ইমাম ইবনু তায়মিয়া (রহঃ) বলেন, বিতর নামায সুন্নাতে মুআক্কাদাএব্যাপারে মুসলমানগণ ঐকমত্যকোন মানুষ যদি বিতর নামায পরিত্যাগ করার ব্যাপারে দৃঢ় থাকে বা অবিরাম বিতর নামায না পড়ে, তবে তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে না।[মুন্তক্বাল আযকার- ডঃ খালেদ আল জুরাইসী, প্রকাশনাঃ আল জুরাইসী ইষ্টঃদ্বিতীয় প্রকাশঃ ১৪২৭ হিঃ।]

দলীলঃ আলী (রাঃ) বলেন, “বিতির সালাত ফরয সালাতের মতো বাধ্যতামূলক নয়, তবে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) একে সুন্নত করেছেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ বেজোড় (বিতির), তিনি বেজোড় সংখ্যা পছন্দ করেন সুতরাং, হে আহলে কুরআন! তোমরা বিতির পড়তে থাকো
আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ

দলীলঃ আবু মুহাম্মাদ নামে এক লোক বললো, বিতির সালাত ওয়াজিব এই কথা শুনে প্রখ্যাত সাহাবী উবাদাহ বিন সামিত (রাঃ) বলেন, আবু মুহাম্মাদ ভুল বলেছে......হাদীসের শেষ পর্যন্ত
আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবনে হিব্বান

দলীলঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ফরয সালাত কখনোই সওয়ারীর (গাধা বা ঘোড়ার) পিঠে চড়ে পড়তেন না, শুধু নফল সালাত পড়তেন কিন্তু তিনি বিতির সালাত সওয়ারীর উপর পড়েছেন থেকে প্রমানিত হয় বিতির সালাত ফরয বা ওয়াজিব নয়
বুখারী, মুসলিম, দারা কুতনী ১৬১৭


কখন পড়তে হবে?

এশার নামাযের পর থেকে নিয়ে ফজর উদিত হওয়ার আগ পর্যন্তউক্ত সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে নামায আদায় করবে; যেমন ইতিপূর্বে খারেজা ইবনে হুযাফা (রাঃ) বর্ণিত হাদীছে উল্লেখ করা হয়েছেতবে শেষ রাত্রে অর্থাৎ ফজরের পূর্বে আদায় করা উত্তমছহীহ হাদীছে প্রমাণিত হয়েছে যে, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনো রাতের প্রথম ভাগে কখনো দ্বিতীয় ভাগে এবং অধিকাংশ সময় শেষ ভাগে বিতর নামায পড়েছেন

আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাতের প্রত্যেকভাগে রাসূলুল্লাহ্(ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিতর নামায পড়েছেনরাতের প্রথমভাগে, রাতের মধ্যভাগে অতঃপর রাতের শেষভাগে বিতর পড়া তাঁর অভ্যাসে পরিণত হয়।[মুসলিম, অধ্যায়ঃ মুসাফিরের নামায হা/১২৩১বুখারী, অধ্যায়ঃ জুমআ হা/৯৪১।]


জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি এই আশংকা করে যে, শেষ রাতে নফল নামায পড়ার জন্য উঠতে পারবে না, তবে সে যেন রাতের প্রথমভাগেই বিতর নামায পড়ে নেয়আর যে ব্যক্তি শেষ রাতে ক্বিয়াম করার আগ্রহ রাখে সে যেন শেষ রাতেই বিতর নামায পড়েকেননা শেষ রাতের নামাযে ফেরেশতাগণ উপস্থিত হনআর এটাই উত্তম।[মুসলিম, অধ্যায়ঃ মুসাফিরের নামায হা/১২৫৫তিরমিযী, ইবনু মাজাহ্‌।]



বিতর নামাযের কাযাঃ


অনিচ্ছাকৃতভাবে যদি কারো বিতর নামায ছুটে যায়, তবে সে দিনের বেলায় উহা কাযা আদায় করতে পারেআবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন-যে ব্যক্তি বিতর নামায না পড়ে ঘুমিয়ে থাকবে অথবা উহা পড়তে ভুলে যাবে, সে যেন স্মরণ হলেই উহা আদায় করে নেয়আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ ছালাত, অনুচ্ছেদঃ বিতরের পর দুআর বর্ণনা হা/১২১৯তিরমিযী, অধ্যায়ঃ ছালাত, অনুচ্ছেদঃ কোন মানুষ যদি বিতর না পড়ে ঘুমিয়ে থাকে বা ভুলে যায় তখন কি করবে, হা/৪২৮হাদীছটি ছহীহ্‌

বিতর নামায কাযা আদায় করার ব্যাপারে আরেকটি নিয়ম পাওয়া যায়তা হচ্ছেঃ দিনের বেলায় ১২ রাকাত নামায আদায় করাআয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যদি কখনো নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে নিদ্রা জনিত কারণে বা অসুস্থতার কারণে রাতে ক্বিয়ামুল্লায়ল করতে অপরাগ হতেন, তবে দিনের বেলায় ১২ রাকাত নামায আদায় করতেন
মুসলিম, অধ্যায়ঃ মুসাফিরের নামায, অনুচ্ছেদঃ রাতের যাবতীয় নামায এবং যে ব্যক্তি নামায না পড়ে ঘুমিয়ে থাকবে বা অসুস্থ হয়ে যাবে। (এটি দীর্ঘ একটি হাদীছের অংশ বিশেষ) হা/১২৩৩



একরাতে দুবার বিতর পড়াঃ

একরাতে দুবার বিতর পড়া বিধিসম্মত নয়কোন মুসলমান যদি প্রথম রাতে বিতর আদায় করে ঘুমিয়ে পড়েঅতঃপর জাগ্রত হয়ে শেষ রাতে তাহাজ্জুদ আদায় করার জন্য আল্লাহ তাকে সুযোগ দান করেন,তবে সে দুদুরাকাত করে নামায আদায় করবেশেষে আর বিতর পড়বে না
দলিল- 
ক্বায়স বিন ত্বল্ক্ব বলেন, একদা রামাযানে আমার পিতা ত্বল্ক্ব বিন আলী (রাঃ) আমাদের নিকট আগমণ করেন, সন্ধ্যা হয়ে গেলে তিনি আমাদের নিকটেই ইফতার করেনঅতঃপর আমাদের নিয়ে তারাবীর নামায পড়েন এবং বিতর পড়েনতারপর তাঁর নিজের মসজিদে গিয়ে লোকদের নিয়ে ক্বিয়ামুল্লায়ল করেনযখন বিতর নামায বাকী ছিল তখন তিনি একজন লোককে আগে বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, লোকদের নিয়ে বিতর পড়ে নাওকেননা আমি শুনেছি রাসূলুল্লাহ্(ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,একরাতে দুবার বিতর নেই
আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ বিতর, অনুচ্ছেদঃ বিতর ভেঙ্গে দেয়া হা/১২২৭তিরমিযী, অধ্যায়ঃ বিতর, অনুচ্ছেদঃ রাতে দুবার বিতর নেই হা/৪৩২নাসাঈ, অধ্যায়ঃ ক্বিয়ামুল্লায়ল দিনের নফল নামায, অনুচ্ছেদঃ এক রাতে দুবার বিতরের ব্যাপারে নবী বএর নিষেধাজ্ঞা, হা/১৬৬১শায়খ আলবানী হাদীছটিকে ছহীহ বলেন, দ্রঃ ছহীহ তিরমিযী, ১/১৪৬

বিতির সালাত কত রাকাতঃ

বিতর নামাযের রাকাত সংখ্যা নির্দিষ্ট একটি সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয় নামায , , , , , ১১ ১৩ রাকাত পর্যন্ত পড়া যায়
 

বিতির কিভাবে পড়তে হবেঃ 

নিম্নে ১ রাকাত ও তিন রাকাত বিতরের নিয়ম আলোচিত হল-

রাকাত পড়ার নিয়মঃ 

অন্তরে নিয়ত করে সানা, আউযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ পড়ে সুরা ফাতিহা পড়তে হবে এর পরে যে কোনো একটা সুরা মিলিয়ে দুয়া কুনুত পড়তে হবেকুনুত দুইভাবে পড়া যায়, রুকুর আগে রুকুর পরেকুনুত পড়ার সময় মুনাজাত করার মতো হাত তুলে কুনুত পড়া মুস্তাহাবআর রুকুর পরে কুনুত পড়লে, কিরাতের পরে রুকু করতে হবে, রুকু থেকে দাঁড়িয়ে সামিয়াল্লাহ হুলিমান হামীদাহ, রাব্বানা লাকাল হামদ বলার পরে দাঁড়ানো অবস্থাতে মুনাজাতের মতো হাত তুলে কুনুত পড়বে কুনুত শেষ হলে আল্লাহু আকবার বলে সিজদাতে যাবেতারপর দুটি সিজদা করে তাশাহুদ, দরূদ দুআ পড়ে সালাম ফিরাবে




কুনুত পড়া কি ওয়াজিব?

কুনুত পড়া ওয়াজিব নয় কারণ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সব সময় বিতির সালাতে কুনুত পরতেন না তাই আমাদের উচিত বিতির সালাতে কখনো কখনো দুয়া কুনুত ছেড়ে দেওয়া, কারণ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সুন্নত এমনই
আবু দাউদ, নাসায়ী, তিরমিযী, মিশকাত ১২৯১-১২৯২


কুনুত-

আল্লাহুম্মাহ্দিনি ফীমান হাদায়তা ওয়া আফেনী ফীমান আফায়তা, ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লায়তা ওয়া বারেক লী ফীমা ত্বায়তা, ওয়া ক্বেনী শার্রা মা ক্বাযায়তা, ফা ইন্নাকা তাক্বযী ওয়ালা য়্যুক্বযা আলাইকা, ওয়া ইন্নাহু লা য়্যাযিল্লু মান ওয়ালায়তা, ওয়ালা ইয়েয্যু মান আদায়তা, তাবারাকতা রাব্বানা ওয়া তাআলায়তা

অর্থঃ হে আল্লাহ্‌! আমাকে সঠিক পথ দেখিয়ে তাদের অন্তর্ভূক্ত কর যাদের তুমি হেদায়াত করেছ, আমাকে নিরাপদে রেখে তাদের মধ্যে শামিল কর, যাদের তুমি নিরাপদ রেখেছতুমি আমার অভিভাবকত্ব গ্রহণ করে তাদের মধ্যে শামিল কর যাদের তুমি অভিভাবক হয়েছতুমি আমাকে যা দান করেছ তাতে বরকত দাওতুমি আমাকে সেই অনিষ্ট থেকে রক্ষা কর যা তুমি নির্ধারণ করেছ, কারণ তুমি ফায়সালাকারী এবং তোমার উপর কারো ফায়সালা কার্যকর হয় নাতুমি যার সাথে মিত্রতা পোষণ কর তাকে কেউ লাঞ্ছিত করতে পারে নাআর যার সাথে শত্রুতা পোষণ কর, সে কখনো সম্মানিত হতে পারে নাহে আমাদের রব! তুমি খুবই বরকতময়, সুউচ্চ সুমহান

তিরমিযী, অধ্যায়ঃ বিতর নামায, অনুচ্ছেদঃ বিতরে কুনূতের বিবরণ হা/৪২৬নাসাঈ, অধ্যায়ঃ কিয়ামুল্লায়ল দিনের নফল নামায, অনুচ্ছেদঃ বিতরের দু হা/১৭২৫আবু দাঊদ, অধ্যায়ঃ বিতর নামায, অনুচ্ছেদঃ বিতরে কুনূতের বিবরণ, হা/১২১৪ইবনু মাজাহ, অধ্যায়ঃ নামায প্রতিষ্ঠা করা তাতে সুন্নাত, অনুচ্ছেদঃ বিতরে কুনূতের বিবরণ, হা/১১৬৮শায়খ আলবানী হাদীছটিকে ছহীহ বলেছেন, দ্রঃ ইরউয়াউল গালীল, হা/৪৪৯মেশকাত- আলবানী ১/৩৯৮পৃঃ হা/ ১২৭৩

তিন রাকাত বিতরঃ


নামায পড়ার বিশুদ্ধ পদ্ধতি হচ্ছে দুটি

প্রথম পদ্ধতিঃ 

 দুরাকাত পড়ে সালাম ফেরানোঅতঃপর এক রাকাত পড়া পদ্ধতির দলীল হলো- আবদুল্লাহ্ইবনে উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-জনৈক ছাহাবী রাতের নামায সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে জিজ্ঞেস করলতখন রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, রাতের নামায দুদু রাকাত করে, যখন ফজর হওয়ার আশংকা করবে তখন এক রাকাত বিতর পড়ে নিবে।[ছহীহ বুখারী, অধ্যায়ঃ বিতর নামায, অনুচ্ছেদঃ বিতরের বর্ণনাহা/৯৩২ (বাংলা বুখারী)মুসলিম, অধ্যায়ঃ মুসাফিরের নামায, হা/১২৩৯।]



ইবনে উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)  থেকে আরো বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বিতর নামায সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন,দুরাকাত এবং এক রাকাতের মাঝে সালাম ফিরে পার্থক্য করে নিবেআসরাম স্বীয় সনদে হাদীছটি বর্ণনা করেনদ্রঃ আল মুগনী ২/৫৮৯



দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ 


দুরাকাত পড়ে তাশাহুদের জন্য না বসে সালাম না ফিরিয়ে একাধারে তিন রাকাত পড়ে সালাম ফেরানো কথার দলীল, হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনি রাকাত বিতর নামায পড়তেনএর মধ্যে তাশাহুদের জন্যে বসতেন না, একাধারে তিন রাকাত পড়ে শেষ রাকাতে বসতেন তাশাহুদ পড়তেনএভাবেই বিতর পড়তেন আমীরুল মুমেনীন হযরত ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ)হাদীছটি বর্ণনা করেন ইমাম হাকেম, তিনি হাদীটিকে ছহীহ বলেন

একাধারে তিন রাকাত বিতর পড়ার ইঙ্গিতে আরেকটি হাদীছ পাওয়া যায়উবাই বিন কা (রাঃ) বলেন,
রাসূলুল্লাহ্(ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিতর নামাযে প্রথম রাকাতে সাব্বেহিসমা রাব্বিকাল লা’, দ্বিতীয় রাকাতে কুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফেরূনএবং তৃতীয় রাকাতে কুল হুওয়াল্লাহু আহাদপড়তেনআর সবগুলো রাকাত শেষ করেই সালাম ফেরাতেন।[নাসাঈ, অধ্যায়ঃ ক্বিয়ামুল্লায়ল নফল নামায, অধ্যায়ঃ বিতরের ক্ষেত্রে উবাই বিন কাবের হাদীছ বর্ণনায় বর্ণনাকারীদের বাক্যের মধ্যে বিভিন্নতাহা/১৬৮১।]


মাগরিবের মত তিন রাকাত বিতর না পড়াঃ
 
আবু হুরায়রাহ্(রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
তোমরা মাগরিবের নামাযের সাথে সাদৃশ্য করে তিন রাকাত বিতর পড়না; বরং পাঁচ রাকাত দ্বারা বা সাত রাকাত দ্বারা বা নয় রাকাত দ্বারা কিংবা এগার রাকাত দ্বারা বিতর পড়
তাহাভী, দারাকুতনী, ইবনু হিব্বান হাকিম হাদীছটি বর্ণনা করেছেনহাকিম হাদীছটিকে বুখারী মুসলিমের শর্তানুযায়ী ছহীহ আখ্যা দিয়েছেন এবং ইমাম যাহাবী সমর্থন করেছেনইবনু হাজার শাওকানীও ছহীহ্বলেছেন। (দ্রঃ ফাতহুল বারী, ২/৫৫৮, নায়লুল আউতার ৩/৪২-৪৩শায়খ আলবানীও ছহীহ আখ্যা দিয়েছেন (দ্রঃ ছালাতু তারাবীহ্‌- ৮৪ ৯৭ পৃঃ)



বিতর নামায শেষ করলেঃ
বিতর নামাযের শেষে সালাম ফিরিয়েই অন্যান্য তাসবীহ দুআ ইত্যাদি বলার পূর্বে সুবহানাল মালিকিল্কুদ্দুসকথাটি তিনবার বলা সুন্নাতশেষেরবার একটু টেনে বলতে হয়

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন