রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা পেশাব থেকে পবিত্রতা অর্জন কর। কেননা অধিকাংশ কবরের আযাব একারণেই হয়ে থাকে।দারাকুৎনী হা/৪৫৩, হাকেম পৃঃ ১/১৮৩; ছহীহুল জামে‘ হা/৩০০২; ইরওয়া হা/২৮০।
পেশাব-পায়খানার আদব ...
1. পায়খানায় প্রবেশের দুআটি এই-
বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মাা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল খুবসী ওয়াল খাবায়িস।(অর্থ- হে আল্লাহ! দুষ্ট পুরুষ জিন এবং দুষ্ট মহিলা জিনদের অত্যাচার থেকে তোমার পানাহ চাই।)
2. বের হওয়ার সময় বলবে -
غُفْرَانَكَ ‘গুফরা-নাকা’ (হে আল্লাহ! আমি আপনার ক্ষমা প্রার্থনা করছি’)।
অর্থাৎ আপনার হুকুমে পেশাব-পায়খানা হয়ে যাওয়ায় যে স্বস্তি ও
অফুরন্ত কল্যাণ লাভ হয়েছে, তার যথাযথ শুকরিয়া
আদায় করতে না পারায় হে আল্লাহ আমি আপনার নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। এর
আরেকটি তাৎপর্য এই যে, হে আল্লাহ! আপনার দয়ায় যেভাবে আমার দেহের ময়লা বের
হয়ে স্বস্তি লাভ করেছি, তেমনি আমার যাবতীয় অসৎ কর্মের পাপ হ’তে মুক্তি
লাভের উদ্দেশ্যে আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
3. প্রথমে বাম পা দিয়ে পায়খানায় প্রবেশ করবে এবং ডান পা দিয়ে বের হবে।
4. বাম হাত দিয়ে ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করবে অতঃপর মাটিতে (অথবা সাবান দিয়ে) ভালভাবে ঘষে পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলবে। পানি পেলে কুলূখের (মাটির ঢেলা) প্রয়োজন নেই।স্রেফ পানি দিয়ে ইস্তেঞ্জা করায় ক্বোবাবাসীদের প্রশংসা করে আল্লাহ সূরা তওবাহ ১০৮ আয়াতটি নাযিল করেন।তবে পানি না পেলে কুলূখ নিবে।
5. ডান হাত দিয়ে যৌনাঙ্গ স্পর্শ না করা।
6. খোলা স্থানে হ’লে দূরে গিয়ে আড়ালে পেশাব-পায়খানা করবে। এ সময় ক্বিবলার দিকে মুখ করে বা পিঠ ফিরে পেশাব-পায়খানা করা নিষেধ।
7. সামনে পর্দা রেখে বসে পেশাব করবে।অনিবার্য কারণ ব্যতীত দাঁড়িয়ে পেশাব করা যাবে না।
8. রাস্তায় বা কোন ছায়াদার বৃক্ষের নীচে (যেখানে মানুষ বিশ্রাম নেয়) পেশাব-পায়খানা করা যাবে না।কোন গর্তে পেশাব করা যাবে না।আবদ্ধ পানি, যাতে গোসল বা ওযূ করা হয়, তাতে পেশাব করা যাবে না।
9. নরম মাটিতে পেশাব করবে। যেন পেশাবের ছিটা কাপড়ে না লাগে। পেশাব হ’তে ভালভাবে পবিত্রতা হাছিল করা যরূরী। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা পেশাব থেকে পবিত্রতা অর্জন কর। কেননা অধিকাংশ কবরের আযাব একারণেই হয়ে থাকে’।
10. পেশাবে সন্দেহ দূর করার জন্য কাপড়ের উপর থেকে বাম হাতে লজ্জাস্থান বরাবর সামান্য পানি ছিটিয়ে দিবে।
11. পেশাব রত অবস্থায় কেউ সালাম দিলে পবিত্রতা অর্জনের পর তার জওয়াব দেওয়া মুস্তাহাব (যদি সালাম দাতা মওজুদ থাকে)।নইলে হাজত সেরে এসে ওযূ বা তায়াম্মুম ছাড়াও জওয়াব দেওয়া যাবে। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সর্বাবস্থায় আল্লাহর যিকর করতেন।
12. পেশাব রত অবস্থায় (যরূরী প্রয়োজন ব্যতীত) কথা বলা যাবে না।
উৎস - আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত,তিরমিযী,নাসাঈ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন