নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যখন তোমাদের কেউ হাঁচবে, তখন সে যেন বলে, ‘আলহামদু লিল্লাহ।’ (তা শুনে) তার ভাই বা সাথীর বলা উচিত, ‘য়্যারহামুকাল্লাহ।’ সুতরাং যখন জবাবে ‘য়্যারহামুকাল্লাহ’ বলবে, তখন যে (হাঁচি দিয়েছে) সে বলবে, ‘য়্যাহদীকুমুকাল্লাহু অ য়্যুস্লিহু বালাকুম।’ (অর্থাৎ আল্লাহ তোমাদেরকে সুপথ দেখান ও তোমাদের অন্তর সংশোধন করে দেন।)’’ (বুখারী)
হাঁচি ও হাই তোলা সম্পর্কিত আদব-কায়দা-
যে হাঁচি দিবে সে আলহামদু লিল্লাহ বললে তার উত্তর দেওয়া মুস্তাহাব।
নচেৎ তা অপছন্দনীয়। হাঁচির উত্তর দেওয়া, হাঁচি ও হাই তোলা সম্পর্কিত
আদব-কায়দা- নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যখন তোমাদের কেউ হাঁচবে, তখন সে
যেন বলে, ‘আলহামদু লিল্লাহ।’ (তা শুনে) তার ভাই বা সাথীর বলা উচিত,
‘য়্যারহামুকাল্লাহ।’ সুতরাং যখন জবাবে ‘য়্যারহামুকাল্লাহ’ বলবে,
তখন যে (হাঁচি দিয়েছে) সে বলবে, ‘য়্যাহদীকুমুকাল্লাহু অ য়্যুস্লিহু
বালাকুম।’ (অর্থাৎ আল্লাহ তোমাদেরকে সুপথ দেখান ও তোমাদের অন্তর সংশোধন করে
দেন।)’’ (বুখারী)
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, দু’জন লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে হাঁচল। তিনি তাদের মধ্যে একজনের উত্তর দিলেন। আর দ্বিতীয় জনের উত্তর দিলেন না। যে ব্যক্তির উত্তর দিলেন না সে বলল, ‘অমুক ব্যক্তি হাঁচল তো তার উত্তর দিলেন, আর আমি হাঁচলাম, কিন্তু আপনি আমার উত্তর দিলেন না!?’ তিনি বললেন, ‘‘ঐ ব্যক্তি ‘আলহামদু লিল্লাহ’ পড়েছে। আর তুমি ‘আলহামদু লিল্লাহ’ পড়নি তাই।’’ (বুখারী ও মুসলিম)
আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,‘‘যখন তোমাদের কেউ হাই তুলবে, তখন সে যেন আপন হাত দিয়ে নিজ মুখ চেপে ধরে রাখে। কেননা, শয়তান (মুখে) প্রবেশ করে থাকে।’’ (মুসলিম)
সাক্ষাৎকালীন আদব - সাক্ষাৎকালে মুসাফাহা করা, হাসিমুখ হওয়া, সৎ ব্যক্তির হাত চুমা, নিজ সন্তানকে স্নেহভরে চুমা দেওয়া, সফর থেকে আগত ব্যক্তির সাথে মু‘আনাকা (কোলাকুলি) করা মুস্তাহাব। আর (কারোর সম্মানার্থে) সামনে মাথা নত করা মাকরূহ।
বারা’ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘দু’জন মুসলিম সাক্ষাৎকালে মুসাফাহা করলেই একে অপর থেকে পৃথক হবার পূর্বেই তাদের (গুনাহ) মাফ করে দেওয়া হয়।’’ (আবূ দাউদ)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন