সংক্ষেপে সলাত আদায় পদ্ধতি-
নারী অথবা পুরুষ নিজের শরীরের গঠন অনুযায়ী আরাম ও স্বস্তিদায়ক হয় এমন পরিমান জায়গা দুই পায়ের মাঝে ফাঁকা রাখবে। এতে সে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করবে, খুব বেশি ফাঁকা রাখবেনা আবার দুই পা এমনভাবে মিশিয়েও রাখবেনা যাতে করে দাড়াতেই কষ্ট হয়।
সুতরাঃ
নামায শুরুর আগে “সুতরা” দিয়ে নামায পড়তে হবে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
"তোমাদের মধ্যে কেউ যখন নামায পড়ে সে যেনো সামনে একটা সুতরা দিয়ে নামায পড়ে। কেউ যদি সুতরা ছাড়া নামায পড়ে আর তার সামনে দিয়ে যদি একটা কালো কুকুর অথবা সাবালিকা কোনো নারী অতিক্রম করে তাহলে তার নামায নষ্ট হয়ে যাবে"।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
"তোমাদের মধ্যে কেউ যখন নামায পড়ে সে যেনো সামনে একটা সুতরা দিয়ে নামায পড়ে। কেউ যদি সুতরা ছাড়া নামায পড়ে আর তার সামনে দিয়ে যদি একটা কালো কুকুর অথবা সাবালিকা কোনো নারী অতিক্রম করে তাহলে তার নামায নষ্ট হয়ে যাবে"।
নামায শুরুঃ
পূর্ণাংগ ওযু বা প্রয়োজন
সাপেক্ষে তায়াম্মুম করে পবিত্রতা অর্জন করে, নামাযের অন্য শর্তগুলো পূরণ
করে কিবলামুখী হয়ে পবিত্র স্থানে দাড়াতে হবে।
এসময় অন্তরটাকে আল্লাহর দিকে করতে হবে, যেন নামাজ আদায়কারী আল্লাহকে দেখতে পাচ্ছেন।
এটা সম্ভব না হলে অন্তত অন্তরে এমন অনুভূতি নিয়ে দাড়াতে হবে যে, নামাজ আদায়কারীকে নিশ্চয়ই আল্লাহ দেখতে পাচ্ছেন।
নিয়ত করাঃ
মনের মধ্যে নামাজের অনুভূতি ধারণ করলেই হবে।তাকবীরে তাহরীমাঃ
নিয়ত করার পরে “আল্লাহু আকবার” বলে দুই হাত কাধ বা কান পর্যন্ত তুলে ইশারা
করা, কিন্তু কান স্পর্শ না করে হাত বাধতে হবে।নারী ও পুরুষের আলাদা নিয়ম নেই জামাতে
যারা পরে যোগ দেন ইমাম রুকুতে থাকলে আগে তাকবীরে তাহরীমা বলে নামাযে ঢুকে
এর পরে আবার তাকবীর দিয়ে রুকুতে বা অন্য জায়গাতে যেতে হবে, নয়তো নামায
হবেনা।
সানাঃ
প্রথমেই আল্লাহর প্রশংসা করে
নামায শুরু করতে হয় আল্লাহর এই প্রশংসা বা নামায শুরুর দুয়াকে আরবীতে
“সানা” বলা হয়। বাইয়ি’দ বাইনি ওয়া বাইনা খাত্বাইয়াইয়া…/ সুবহা’নাকা
আল্লাহুম্মা পড়া।
আ’উযুবিল্লাহ…বিসমিল্লাহ পড়া…
নামাযে কিরাত
পড়া শুরু করার আগে “আ'উযু বিল্লাহিমিনাশ-শাইতানির রাযীম” পড়তে হবে।
আ’উযুবিল্ললাহ শুধু প্রথম রাকাতেই পড়তে হয়, এর পরের রাকাতগুলোতে পড়তে
হয়না। এই দুয়া পড়ে শয়তান থেকে আশ্রয় চাওয়া হয়।পরে “বিসমিল্লাহির-রাহমানির রাহীম” পড়তে হবে।
কিরাতঃ
স্বরব, নীরব সকল নামাযে ইমাম, মুক্তাদী, একাকী- সবার জন্য সূরা
ফাতিহা পাঠ করা রুকন বা ফরয। তবে মাসবূক যদি ইমামের রুকূর সময় নামাযে শামিল
হয়, তবে সূরা ফাতিহা পাঠ করা রহিত হয়ে যাবে। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) এর সাধারণ বাণীঃ“যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করবে না তার নামায
হবে না।” সূরা ফাতেহা শেষে স্বশব্দের সালাতে আমিন বলতে হবে এবং
নিঃশব্দের সালাতে আমিন নিঃ শব্দে বলতে হবে| আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রঃ)—-
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ ইমাম যখন
আমীন বলেন, তখন তোমরাও আমীন বলো। কেননা, যার আমীন (বলা) ফিরিশতাদের আমীন
(বলা) এক হয়, তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। ইবনু শিহাব (রঃ)
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ)ও আমীন বলতেন।( সহীহ বুখারী,২য় খন্ড, হাদিছ নং
৭৪৪, পৃষ্ঠা নং ১২১ প্রকাশনী- ইসঃ ফাউঃ বাংলাদেশ।)
সুরা ফাতিহা পড়ে কুরান থেকে মুখস্থ আছে ও সহজ এমন সুরা বা কিছু আয়াত পড়তে হবে।সুরার প্রথম থেকে পড়লে বিসমিল্লাহির-রাহমানির রাহীম পড়তে হবে। আর সুরার
মাঝখান থেকে পড়লে বিসমিল্লাহির-রাহমানির রাহীম না পড়ে, সরাসরি কিরাত শুরু
করতে হবে। যেকোন ছোট/বড় সুরা পড়া যাবে, পরের সুরা আগে পড়তে কোনো
সমস্যা নেই। সুরার মাঝখান থেকে বা শেষের ১০-২০ আয়াত , এক সুরা
ভেঙ্গে ২ রাকাতে , আয়াতুল কুরসী, বাকারার শেষ ২ আয়াতও কিরাত
হিসেবে পড়া যাবে। তবে প্রথম রাকাতে ২য় রাকাতের চেয়ে লম্বা কিরাত পড়া সুন্নত। এক রাকাতে একাধিক ছোট সুরা পড়া যাবে, তবে একটা সুরা পড়াই
যথেষ্ঠ।
রুকুঃ
সুরা ফাতিহা ও কিরাত পড়া শেষ করে একটু থামতে হবে
,যাতে করে কিরাত ও রুকুর মাঝে একটু বিচ্ছিন্নতা আসে। এর পরে তাকবীর বলে রুকুতে গিয়ে রুকুর তাসবীহ “সুবহা-না রব্বিয়াল ‘আযীম” অন্তত ৩ বার, সম্ভব হলে আরো বেশি বার পড়া ভালো।এছাড়া – “সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা রাব্বানা ওয়াবিহা’মদিকা,
আল্লা-হুম্মাগফিরলী”।
রুকুর তাসবীহ পড়ে “সামি‘আল্লা-হুলিমান হা’মিদাহ” বলে দাঁড়াতে হবে। এরপরে বলা “রব্বানা লাকাল হা’মদ”।
শুধু এতটুকু বললেই ফরয আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু এই দুয়ার পরে আরো অন্য দুয়া আছে। বিশেষ করে
“হা’মদান কাসীরান ত্বায়্যিবান মুবা-রাকান ফীহ”
দুয়াটার ফযীলতঃ
“(এক সাহাবী বলেন) একবার আমরা নবী (সাঃ) এর পিছনে সালাত আদায় করলাম। তিনি
যখন রুকূ’ থেকে মাথা উঠিয়ে ‘সামিআল্লা হুলিমান হামিদা’ বললেন, তখন পিছন
থেকে এক সাহাবী ‘আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ হামদান কাসিরান
তায়্যেবান মোবারাকান ফিহি’ বললেন। সালাত শেষ করে তিনি জিজ্ঞাসা জিজ্ঞাসা
করলেন, কে এরূপ বলেছিল? সে সাহাবী বললেন, আমি। তখন তিনি বললেনঃ আমি দেখলাম
ত্রিশ জনের বেশী ফিরিশতা এর সাওয়াব কে আগে লিখবেন তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে
প্রতিযোগিতা করছেন।”
সহীহ বুখারীঃ ৭৬৫।
সিজদাঃ
রুকু থেকে
দাঁড়িয়ে দুয়া পাঠের পরে “আল্লাহু আকবার” বলে সিজদাতে যেতে হবে।।সিজদার সময়
অবশ্যই দুই পা, দুই হাটু, দুই হাতের কবজি ও মুখমন্ডল (কপাল ও নাকসহ) মাটিতে
স্পর্শ করে রাখতে হবে। তবে হঠাৎকরে পা উঠে গেলে নামায বাতিল হবেনা, তবে
সিজদার পুরো সময় পায়ের গোড়ালি মাটি থেকে তুলে রাখলে নামায বাতিল হয়ে যেতে
পারে। পায়ের পাতা সোজা করে রাখতে হবে, পায়ের অগ্রভাগ কিবলামুখী করে রাখতে
হবে।হাত বিছিয়ে এইভাবে হিংস্র প্রাণীর মতো বসতে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিষেধ
করেছেন, নারী ও পুরুষ একই কাজ করবে।
সিজদার তাসবীহ “সুবহা-না রব্বিয়াল আ‘লা” অন্তত ৩ বার, বা আরো বেশি পড়া ভালো।
এছাড়া সিজদাতে মুনাজাতের মতো দুনিয়া আখেরাতের জন্য দুয়া করা যায়, ফরয
নফল যেকোন নামাযে।সিজদায় তাসবীহ, দুয়া পড়া শেষ হলে “আল্লাহু আকবার” বলে
সিজদা থেকে উঠে বসতে হবে। এইসময় পিঠ সোজা করতে হবে, পিঠ বাকা রেখে দ্রুত
দ্বিতীয় সিজদায় চলে যাওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, এইরকম করলে নামায কবুল হবেনা।
দুই সিজদার মাঝখানে এই সময় দুয়া
রাব্বিগ ফিরলি, রাব্বিগ
ফিরলি।/ আল্লা-হুম্মাগফিরলী,
ওয়ারহা’মনী, ওয়াহদিনী, ওয়াজবুরনী, ওয়াআ’ফিনি, ওয়ারযুক্বনী, ওয়ারফা‘নী।
এবার
আল্লাহু আকবার বলে ২য় সিজদা করে, আগের মতো তাসবীহ পড়তে হবে। ইচ্ছা হলে
নিজস্ব দুয়া করা যায়।২য় রাকাতের জন্য সিজদা থেকে উঠতে হবে আল্লাহু আকবার
বলে।
২য় রাকাতের জন্য সিজদা থেকে উঠাঃ
১ম ও
৩য় রাকাতে দুইটা সিজদা থেকে ২য় ও ৪র্থ রাকাতের জন্য উঠার আগে সরাসরি না
দাঁড়িয়ে, আগে
বসে এর পরে দুই হাতের উপর ভর করে দাঁড়ানো সুন্নত। একে প্রশান্তির
বৈঠক বলা হয়।
প্রশান্তির বৈঠকের দলীল –
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“যখন দ্বিতীয় সেজদা থেকে মাথা উঠাবে, তখন বসবে ও যমীনের উপর ভর দিয়ে দাঁড়াবে”।
সহীহ বুখারিঃ ৮২৪।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“যখন দ্বিতীয় সেজদা থেকে মাথা উঠাবে, তখন বসবে ও যমীনের উপর ভর দিয়ে দাঁড়াবে”।
সহীহ বুখারিঃ ৮২৪।
২য় রাকাতঃ
বিসমিল্লাহ-হির রাহমানির পড়ে সুরা ফাতেহা এর পরে কিরাত পড়তে হবে, সুরার প্রথম থেকে পড়লে বিসমিল্লাহ আর মাঝখান
থেকে পড়লে পড়তে হবেনা। সুরা ফাতেহা ও কেরাত শেষ করে ১ম রাকাতের মতো রুকু ও
সিজদা করতে হবে।
১ম বৈঠকঃ
যদি ৩ অথবা ৪ রাকাত নামায হয় তাহলে ১ম
বৈঠকে শুধু তাশাহুদ (আত্তাহিয়্যাতু…) পড়লেই হবে। কেউ যদি ইচ্ছা করে তাহলে
১ম তাশাহুদে দুরুদ পড়া জায়েজ আছে, এটা সহীহ হাদীস দিয়ে প্রমানিত কিন্তু
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর বেশিরভাগ সময় আমল ছিলো ১ম বৈঠকে শুধু তাশাহুদ পড়া।
বৈঠকের সময় তর্জনী দিয়ে আকাশের দিকে ইশারা করা বা নাড়াচাড়া করা সুন্নত।
অনেকে মনে করে আশ-হাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলার সময় শুধু একবার তুলতে
হবে, এটা ভুল। আর যারা বলে অন্য সময় তুললে শিরিক হয়ে এটা আরো বড় রকমের ভুল,
এইসমস্ত কথার কোনো ভিত্তি নেই। সুন্নত হচ্ছে, তাশাহুদ, দুরুদ ও দুয়া
মাসুরার সময় যখন দুয়া করা হবে তখন একবার করে ইশারা করতে হবে, সালাম ফিরানোও
একটা দুয়া, সুতরাং ডানে বামে সালাম ফেরানোর সময় আরো দুইবার করতে হবে।
এখন আমরা অনুসন্ধান করি তাশাহুদে দু’আর স্থানগুলোঃ
১) আস্সালামু আলাইকা আইয়্যুহান্নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
২) আস্সালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিছ্ ছালিহীন।
৩) আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলি মুহাম্মাদ
৪) আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ
৫) আঊযুবিল্লাহি মিন আযাবি জাহান্নাম
৬) ওয়া মিন আযাবিল ক্বাবরি।
৭) ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহ্ইয়া ওয়াল মামাত।
৮) ওয়ামিন ফিতনাতল মাসীহিদ্দাজ্জাল।
এই আটটি স্থানে আঙ্গুল নাড়াবে এবং তা আকশের দিকে উত্থিত করবে।
এগুলো ছাড়া অন্য কোন দু’আ পাঠ করলেও আঙ্গুল উপরে উঠাবে। কেননা দু’আ করলেই আঙ্গুল উপরে উঠাতে হবে।
৩/৪ রাকাত হলে তাশাহুদ পড়ে “আল্লাহু আকবার” বলে ২হাতের উপর ভর করে দাঁড়াতে হবে। তারপর বিসমিল্লাহ…সুরা ফাতেহা…পড়তে হবে। ফরয নামায হলে ৩ ও ৪ রাকাতে
কোনো সুরা না পড়লেও শুধু সুরা ফাতেহা পড়তে হবে।। সুন্নত, নফল নামাযে ৩ ও ৪
রাকাতে সুরা ফাতেহা পড়ে কেরাত পড়তে হবে।
শেষ বৈঠক এর নিয়মঃ
শেষ বৈঠকে
অর্থাৎ ২ রাকাত নামাযের ১ম বৈঠক ও ৩/৪ রাকাত নামাযের ২য় বৈঠকে প্রথমে
তাশাহুদ, এর পরে দুরুদ পড়তে হবে। এর পরে “দুয়া মাসুরা” পড়তে হবে। তাশাহুদ ও দুরুদ পড়া ওয়াজিব এবং দুয়া
মাসুরা ও অন্য দুয়া পড়া সুন্নত। যত ইচ্ছা দুয়া নিজের বা অন্য
মুসলিমের জন্য প্রয়োজ়নীয় যেকোন দুয়া দুনিয়া বা আখেরাতের
যেকোন কল্যানে পড়া যায়।পরে “আস-সালামু
আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” বলে ডানে ও বামে সালাম ফেরাতে হবে।
তাশাহুদ-
আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াসসালাওাতি ওয়াত্তায়্যিবাতু,
আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
আসসালামু ‘আলাইনা ওয়া ‘আলা ‘ইবা-দিল্লাহিসস্ব-লিহীন
আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন-না মুহাম্মাদান ‘আবদুহু ওয়া রসুলুহু
অর্থাৎ, সকল মৌখিক, দৈহিক, আর্থিক ইবাদত আল্লাহর জন্য
নবীর উপর আল্লাহর শান্তি, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক।
আমাদের এবং সৎকর্মশীলদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে
আল্লাহ্ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই, এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি
যে মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর বান্দা ও রাসুল।
দুরুদ-
আল্লাহুম্মা সল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিওওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা সল্লাইতা ‘আলা ইবরহীমা ওয়া আ-লি ইবরহীম, ইন্নাকা ‘হামীদুম মাজীদ; আল্লাহুম্মা বা-রিক ‘আলা মুহাম্মাদিওওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা বারকতা ‘আলা ইবরহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইবরহীম, ইন্নাকা ‘হামীদুম মাজীদ।
“হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ
(সাঃ) এবং তাঁর বংশধরের উপর রহমত বর্ষণ কর, যেমন রহমত বর্ষণ করেছ ইবরাহীম
(আঃ) ও তাঁর বংশধরের উপর, নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানী। হে আল্লাহ! তুমি
মুহাম্মাদ (সাঃ) এবং তাঁর বংশধরের উপর বরকত নাযিল কর, যেমন বরকত নাযিল করেছ ইবরাহীম (আঃ) ও তাঁর
বংশধরের উপর, নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয়
ও সম্মানী।” [বুখারী ও মুসলিম]
জাজাকাল্লাহ
উত্তরমুছুন