শনিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৫

পবিত্র কোরআন শিক্ষা পদ্ধতি...

এটি একটি বরকতময় কিতাবযা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছিযাতে মানুষ এর আয়াতসূহ লক্ষ্য করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে সূরা সাদ ২৯   

এবং যে আমার স্মরণ (কুরআন) থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবিকা সংকীর্ণ হবে এবং আমি তাকে কেয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করব  সে বলবেঃ হে আমার পালনকর্তা আমাকে কেন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করলেন? আমি তো (দুনিয়াতে) চক্ষুমান ছিলাম। আল্লাহ বলবেনঃ এমনিভাবে তোমার কাছে আমার আয়াতসমূহ এসেছিল
অতঃপর তুমি সেগুলো ভুলে গিয়েছিলে। তেমনিভাবে আজ তোমাকে ভুলে যাব ত্বহা ১২৪-১২৬


 

পবিত্র কোরআন শিক্ষা পদ্ধতি...

  আরবি বর্ণমালা পরিচিতি-

মাখরাজ-







 

১। কলকলার হরফ ৫ টি
... ﻖ - ﻄ - ﺐ - ﺝ - ﺪ

২। ৭ টি হরফ প্রথমে ও মাঝে সংযুক্ত হবে না

... ﻮ - ﺯ - ﺮ - ﺬ - ﺪ - ﺀ - ﺍ

৩। ৮ টি হরফ জবর দিলেও আকার উচ্চারণ হবে না
--- ﻖ - ﻍ - ﻆ - ﻄ - ﺾ - ﺺ - ﺮ - ﺥ

৪। সংযুক্ত হরফ- ﺍ - ﺒ - ﺗ - ﺜ - ﺠ - ﺤ - ﺨ - ﺳ - ﺸ - ﺼ - ﻀ - ﻋ - ﻌ - ﻊ - ﻐ - ﻏ - ﻎ - ﻔ - ﻗ - ﻜ - ﻟ - ﻤ - ﻨ - ﻩ- ﻪ - ﻫ - ﻬ - ﻳ - ﻻ - ﻼ

  

 

 

জযম

 জযম ওয়ালা হরফ ডান দিকের হরকতের সাথে একত্রে মিলিয়ে পড়তে হয়।যাহাই জযম তাহাই সাকিন-

তাশদীদ- তাশদীদ ওয়ালা হরফ ২ বার পড়তে হয়। ১ম বার ডান দিকের হরকতের সাথে, ২য় বার নিজ হরকতের সাথে পড়তে হয়।

৫। লীনের হরফ ২ টি-

 

১) জবরের বাম পাশে জযম ওয়ালা ওয়াও ।
২) জবরের বাম পাশে জযম ওয়ালা ইয়া।

নোট -১) লীনের হরফ হলে তার ডান দিকের হরকতের সাথে তারাতারি পড়তে হয়।
২) লীনের হরফের বামের হরফে ওয়াকফ হলে এক আলিফ টেনে পড়তে হয় যা মাদ্দে লীন বলে ।

৬। মাদ মানে টেনে পড়া । মাদের হরফ তিনটি
১) জবরের বাম পাশে খালি আলিফ।
২) পেশের বাম পাশে জজম ওয়ালা ওয়াও।
৩) জেরের বাম পাশে জজম ওয়ালা ইয়া।

নোট -
১) মাদের হরফ হলে তা ডান দিকের হরকতের উচ্চারণকে এক আলিফ টেনে পড়তে হয়।
২) খাড়া জবর , খাড়া জের, উলতা পেশ হলে এক আলিফ টেনে পড়তে হয়।
৩) হামযার হরকতের সাথে এক আলিফ টেনে সেই মাদ পড়া জায়।
 এক আলিফ মাদ ৮ প্রকার-

১। জবরের বাম পাশে খালি আলিফ।
২। জেরের বাম পাশে জজম ওয়ালা ইয়া।
৩। পেশের বাম পাশে জজম ওয়ালা ওয়াও।
৪। খাড়া জবর।
৫। খাড়া জের।
৬। উল্টা পেশ।
৭। লীনের হরফে বামের হরফে থামতে হলে।
৮। লীনের হরফে বামের হরফে থামতে হলে।

# একটি সোজা আঙুলকে মধ্যম গতিতে বন্ধ করতে যে সময় লাগে তা এক আলিফ।
 ৮। তিন আলিফ মাদ দুই প্রকার-

১। মাদ্দে আরজি(দাড়ির কারনে)- মাদের হরফের বামের হরফে অয়াকফ হলে তিন আলিফ টেনে পড়তে হয়।

২। মাদ্দে মুনফাসিল(চিকন চিহ্ন)- মাদের হরফের উপর চিকন চিহ্ন বামে হামযা থাকলে তিন আলিফ টেনে পড়তে হয়।
 ৯। ৪ আলিফ মাদ এক প্রকার।

# হরফের উপর মোটা চিহ্ন থাকলে হরফের নাম ৪ আলিফ টেনে পড়তে হয়।
# মাদের হরফের উপর মোটা চিহ্ন থাকলে ৪ আলিফ টেনে পড়তে হয়।

১০। গুন্নাহ- মানে গুন গুন করে পড়া। গুন্নাহ ৩ প্রকার-

ক। ওয়াজিব গুন্নাহ।
খ। মীম সাকিন গুন্নাহ।
গ। নূন সাকিন গুন্নাহ বা তানবীন গুন্নাহ।

ক। ওয়াজিব গুন্নাহ- নুনে বা মীমে তাশদীদ থাকলে গুন্নাহ ( ~)করে পড়তে হবে, একে ওয়াজিব গুন্নাহ বলে।


খ। মীম সাকিন গুন্নাহ- মীম সাকিনের বামে ب থাকলে অথবা م থাকলে গুন্নাহ করে পড়তে হয় , একে মীম সাকিন গুন্নাহ বলে।


গ। ন্যূন সাকিন বা তানবীন গুন্নাহ -
পড়ার নিয়ম ৫ প্রকার-

১। ইকলাব।
২। ইদগামে বা গুন্নাহ।
৩। ইদগামে বেলা গুন্নাহ।
৪। ইজহার।
৫। ইখফা।


 ইকলাব-ইকলাব মানে বদলিয়ে পড়া। নুনে সাকিন বা তানবীনের বামে ইকলাবের হরফ ب আসলে ন্যূন সাকিন এবং তানবীন কে مদ্বারা পরিবর্তন করে গুন্নার সাথে পড়তে হয়। 




শটকাট - ب থাকলে م দ্বারা পরিবর্তন করে গুন্না সহ পড়তে হয়।


 ইদগামে বা গুন্নাহ - মানে মিলিয়ে পড়া।



ন্যূনে সাকিন অথবা তানবীনের বামে ইদগামে বা গুনাহর ৪ হরফ ن – و – م - ي এর যেকোনো হরফ আসলে বা গুনাহর হরফে তাশদীদ দিয়ে গুন্নাহ সহ মিলিয়ে পড়তে হয়।

শটকাট- ن – و – م - ي গুন্নাহ সহ মিলিয়ে পড়া যদি ন্যূন সাকিন বা তানবীনের বামে এ গুলি বসে।


 ইদগামে বেলা গুন্নাহঃ
ন্যূনে সাকি্ন অথবা তানবীনের বামে ইদগামে বেলা গুনাহর ২ হরফ ل - ر এর যে কোন হরফ আসলে বেলা গুনাহর হরফে তাশদীদ দিয়ে গুন্নাহ ছাড়া মিলিয়ে পড়তে হবে। একে ইদগামে বেলা গুন্নাহ বলে।




শটকাট- ন্যূন সাকিন বা তানবীনের বামে ل - ر আসলে গুন্নাহ ছাড়া মিলিয়ে পড়তে হয়।


ইজহার- ইজহার মানে স্পষ্ট করে পড়া। ন্যূনে সাকিন বা তানবীনের বামে ইজহারের ৬ হরফের ع – غ – ح – خ – ء - ه যে কোন হরফ আসলে ন্যূনে সাকিন বা তানবীনকে গুন্নাহ ছাড়া স্পষ্ট করে পড়তে হয়। একে ইজহার বলে। 


ন্যূনে সাকিন বা তানবীনের বামে ع – غ – ح – خ – ء - ه হরফ আসলে গুন্নাহ ছাড়া স্পষ্ট করে পড়তে হয়।
 

ইখফা- ইখফা অর্থ- লুকাইয়া বা গোপন করে পড়া।
 

ন্যূনে সাকিন অথবা তানবীনের বামে ইখফার ১৫ হরফের যে কোন হরফ ت – ث – ج – د – ذ – ز – س – ش – ص – ض – ط – ظ – ف – ق – ك আসলে ন্যূন সাকিন এবং তানবিন কে নাকের ভিতর লুকিয়ে গুন্নার সাথে পড়তে হয়। একে ইখফা বলে।
শটকাট-
ন্যূনে সাকিন অথবা তানবীনের বামে ت – ث – ج – د – ذ – ز – س – ش – ص – ض – ط – ظ – ف – ق – ك আসলে ন্যূন সাকিন এবং তানবিন কে নাকের ভিতর লুকিয়ে গুন্নার সাথে পড়তে হয়।


আয়াতের শেষে থামার নিয়ম এবং গোল তা থাকলে পড়ার নিয়ম- 
সাকিন ও তাশদীদ পাশাপাশি থাকলে পড়ার নিয়ম-
আল্লাহ্‌ শব্দের লামের উচ্চারণ- 
রসমে খতের বিবরণ- 
কোরআন মাজিদে থামার বিভিন্ন চিহ্ন সমুহ- 




 

৩৪টি মন্তব্য:

  1. জাযাকাল্লাহু খাইরান।

    উত্তরমুছুন
  2. জাযাকাল্লাহ খাইরান ফিদ্দারাইন।

    উত্তরমুছুন
  3. উদাহরণ থাকলে আরো ভাল হত।যাযাকাল্লাহ খইর।

    উত্তরমুছুন
  4. মাস আল্লাহ খুব সুন্দর লাগছে ব্যখ্যা গুলো।

    উত্তরমুছুন
  5. আবশ্যিক/মৌলিক পোস্ট এর জন্য ধন্যবাদ !

    উত্তরমুছুন
  6. আবশ্যিক /মৌলিক পোস্ট এর জন্য ধন্যবাদ !

    উত্তরমুছুন
  7. বাকি কয় হরফ কলকলা হয় না ?

    উত্তরমুছুন
  8. আলহামদুলিল্লাহ , ভাল হয়েছে

    উত্তরমুছুন
  9. জাযাকাল্লাহ্

    উত্তরমুছুন
  10. মাশাল্লাহ। আল্লাহু আকবর।অনেক খুশি হলাম এটা পেয়ে

    উত্তরমুছুন
  11. তাশদীদ ওয়ালা হরফে ওয়াকফ করার সময় হরফের উপর তাশদীদ নাকি সাকিন ধরতে হবে???

    উত্তরমুছুন
  12. সুন্দর লিখেছেন.... কিছু অজানা জেনে নিলাম।

    উত্তরমুছুন
  13. এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।

    উত্তরমুছুন
  14. তাশদীদ এর পর ওয়াকফ হলে পড়ার নিয়ম কি ? যেমন সূরা লাহাবের প্রথম আয়াতের ওয়াকফ কিভাবে পড়বো ?

    উত্তরমুছুন
  15. তাশদীদ এর পর ওয়াকফ হলে পড়ার নিয়ম কি ? যেমন সূরা লাহাবের প্রথম আয়াতের ওয়াকফ কিভাবে পড়বো ?

    উত্তরমুছুন
  16. তাশদীদ এর পর ওয়াকফ হলে পড়ার নিয়ম কি ? যেমন সূরা লাহাবের প্রথম আয়াতের ওয়াকফ কিভাবে পড়বো ?

    উত্তরমুছুন
  17. অনেক সুন্দর ভাবে লেখা হয়েছে।দোয়া করবেন যেন শিখতে পারি।

    উত্তরমুছুন
  18. মাশাল্লাহ। অনেক উপক্রিত হয়েছি। এমনই খুঁজছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ। জাজাকাল্লাহ খাইরান।

    উত্তরমুছুন
  19. মাশাআল্লাহ, বারাকাল্লাহ।

    উত্তরমুছুন
  20. মাশাল্লাহ। আল্লাহু আকবর।অনেক খুশি হলাম এটা পেয়ে

    উত্তর

    উত্তরমুছুন
  21. মাশাল্লাহ। অনেক উপক্রিত হয়েছি। এমনই খুঁজছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ। জাজাকাল্লাহ খাইরান।

    উত্তরমুছুন