সোমবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৫

হাদীস শাস্ত্রের কিছু পরিভাষা




হাদীস শাস্ত্রের কিছু পরিভাষা



নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কথা, কাজ ও সমর্থনকে হাদীছ বলেহাদীছ দুপ্রকারঃ মাকবূল (গ্রহণযোগ্য) হাদীছ ও (মারদূদ) অগ্রহণযোগ্য হাদীছ। 
মাকবূল হাদীছ দুপ্রকারঃ ছহীহ ও হাসান
মারদূদ বা অগ্রহণযোগ্য হাদীছ দুপ্রকারঃ যঈফ (দুর্বল) ও জাল (বানোয়াট)

সহীহ হাদীছ-যে হাদীছটি নির্ভরযোগ্য ও পূর্ণ স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন, উহার সনদ পরস্পর সম্পৃক্ত, তার মধ্যে গোপন কোন ত্রুটি নেই এবং উহা শাযও (তথা অন্য কোন অধিকতর নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীর বর্ণনার বিরোধী) নয় তাকে সহীহ হাদীছ বলে

যঈফ হাদীছঃ যঈফ হাদীছ ঐ হাদীছকে বলে যার মাঝে না ছহীহ হাদীছের গুণাবলীর সমাবেশ ঘটেছে, না হাসান হাদীছের গুণাবলী পাওয়া যায়যঈফ হাদীছের কয়েকটি প্রকার-মুরসাল, মুনকাতে, মুযাল, মুনকার, মাক্বলূব, মুয্‌তারাব ইত্যাদি

জাল হাদীছ-যে কথাটি মানুষে তৈরী করেছে, অতঃপর তা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নামে চালিয়ে দেয়া হয়েছে, তাকে জাল হাদীছ বলে'মাওযূ' তথা জাল হাদীছ ঐ হাদীছকে বলে যার বর্ণনাকারী-রাবী মিথ্যাবাদী হয় বা হাদীছটির বক্তব্য ইসলামী মৌলিক নীতিমালার বিরোধী হয়

হাসান হাদীছঃ ছহীহ হাদীছের সকল গুণ বিদ্যমান থাকার পর বর্ণনাকারীদের স্মরণশক্তি যদি কিছুটা হালকা প্রমাণিত হয় তবে তাকে হাসান হাদীছ বলা হয়


মারফূ হাদীছ-যে হাদীছটি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর কথা, কাজ বা সমর্থন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে তাকে মারফূ হাদীছ বলে
মাওকূফ হাদীছ-যে হাদীছটি কোন সাহাবীর কথা, কাজ বা সমর্থন বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তাকে মাওকূফ হাদীছ বলে
মাকতূ হাদীছ-যে হাদীছটি কোন তাবেঈর কথা, কাজ বা সমর্থন বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তাকে মাক্বতূ হাদীছ বলে


হাদীছের সনদ বলতে-হাদীছ বর্ণনার সময় বর্ণনাকারীদের সিলসিলা বা ধারাবাহিকভাবে তাদের নাম উল্লেখকে সনদ বলা হয়
হাদীছের মূল বক্তব্যটিকে মতন বলা হয়


মুত্তাফাকুন আলাইহে-যে হাদীছটি ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম নিজ নিজ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন, সে হাদীছ সম্পর্কে বলা হয় মুত্তাফাকুন আলাইহে


হাদীছে কুদুসী-উহা সেই হাদীছ যা আমাদের নিকট উদ্ধৃত করা হয়েছে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে এবং সেটি তাঁর মহান আল্লাহর কথা বলে বর্ণনা করা হয়েছে (অর্থাৎঃ নবীর সূত্রে বর্ণিত আল্লাহর বাণীকে হাদীছে কুদুসী )


৩টি মন্তব্য: